স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা (শরীয়তপুর) : পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার আটটি গ্রামের অন্তত তিনশ’ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। দশ দিন ধরে ভাঙনের কবলে থাকা গ্রামবাসী ত্রাণ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এখনও কোনো সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়নি জানিয়ে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।”
তিনি জানান, চলতি বছরের ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়ে। তার বাড়িটিও বিলীনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
“গত ১০ দিনে রমজান ছৈয়াল কান্দি, সরদার কান্দি, মৃধা কান্দি, হাজী তাইজ উদ্দিন মাদবর কান্দি, মীর আলী মাদবর কান্দি, নজিম উদ্দিন বেপারী কান্দি, চেরাগ আলী সরদারের কান্দি ও কোতোয়াল কান্দি গ্রামের অন্তত ৩০০টি পরিবারের ভিটা, প্রায় দুশ’ একর ফসলি জমিসহ স্থাবর সম্পত্তি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।”
এছাড়া বড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নজিম উদ্দিন বেপারী কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘরও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বড়কান্দি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন, বড়কান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দূর্গারহাট বাজার, জামে মসজিদ, ইয়াদ আলী হাফেজিয়া মাদরাসা।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত রমজান ছৈয়াল কান্দি গ্রামের হারুন, নুর জাহান, রস নেছা বেগমসহ সরদার কান্দি, মৃধা কান্দি, হাজি তাইজ উদ্দিন মাদবর কান্দির বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ঈদের আনন্দও জোটেনি তাদের ভাগ্যে।
অবিরাম বর্ষণে নারী-শিশু-বৃদ্ধদের পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়ে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। কোথাও মিলছে না মাথা গোঁজার ঠাঁই। কেউ তাদের খাবার, পানি কিংবা অন্য কোনো কিছু দিয়ে সাহায্য করেনি।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, “আমি দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসকের নিকট তালিকা প্রেরণ করেছি।”
সরকারি ত্রাণ সহায়তা পাওয়া গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।